কল্যাণী শহর

শিল্পনগরী কল্যাণী

কল্যাণী শহরের রূপকার ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই শহরের বুকে চিত্তরঞ্জনের রেলইঞ্জিন কারখানার মতন একটি বড় কারখানা তৈরী হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এই কল্যাণী শহরটি একটি সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় প্রতিরক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে এই পরিকল্পনা বাতিল করা হয় এবং সেই রেলইঞ্জিন কারখানাটি তৎকালীন বিহারে স্থাপিত হয়। শিল্পনগরী হিসেবে আত্মপ্রকাশকারী এই কল্যাণীতে বি-ব্লকের বিশাল এলাকা…

কল্যাণী শহর

কল্যাণী স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা

“নিদানকালে বিধানরায়”  এই প্রবাদ ছিল। স্বনামধন্য চিকিৎসক মুখ্যমন্ত্রী সেই বিধান রায়ের স্বপ্নেরশহর কল্যাণীতে তাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভালো রাখারই কথা। শিক্ষা কেন্দ্রের সাথে সাথে তাই স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি এই শহর আনুষ্ঠানিক সূচনার পরেই ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবে তৈরি হয় একটি ১৪ শয্যায়ের শাস্ত্র কেন্দ্র। তারপর ১৯৬০ সালে একটি ৫০০ বেডের  হাসপাতালের  ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন…

কল্যাণী শহর

কল্যাণীর খেলাধুলোর জগৎ

কল্যাণী স্টেডিয়াম খেলাধুলো মানুষের মন ও শরীর সতেজ করে। যেহেতু “স্বাস্থ্যই সম্পদ” তাই সুস্থ শরীরের কথা ভেবেই যুগ যুগ ধরে খেলাধুলার অনুশীলন করে আসছে মানুষ। শুধু সুস্থ দেহই নয় মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত খেলাধুলা মানুষের দেহ ও মনে শৃঙ্খলা আনে। আর দলগত শৃঙ্খলাবোধই জাতির অগ্রগতির অন্যতম ভিত্তি। সেই কথা মাথায় রেখে কল্যানী…

কল্যাণী শহর

শতাব্দী প্রাচীন সতীমায়ের মেলা ও কর্তাভজা

মেলা হলো মানুষের মিলনস্থল। পবিত্র দোল পূর্ণিমার আগের দিন থেকে কামনা ও মিলনের আকাঙ্ক্ষায় দূরদূরান্ত থেকে নদীয়ার অন্তর্গত কল্যাণীর ঘোষপাড়ায় একেবারে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী স্থানে কত যে মানুষ আসে তার ইয়ত্তা নেই। চলতি নাম সতী মায়ের মেলা। আবার দোল মেলা, ঘোষপাড়া মেলা , বাইশ ফকিরের মেলা ইত্যাদি নামেও চল রয়েছে। ভক্তসমাগমে যথার্থভাবেই মিলনমেলার রূপ নাই…

কল্যাণী শহর

ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় ও কল্যাণী

ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় চিকিৎসক হিসাবে বিধান চন্দ্র রায় ছিলেন ধন্বন্তুরি। ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল রোগীকে দেখে তৎক্ষণাৎ রোগ নির্ণয় বা “ইন্টুইশন” |  ডাঃ রায়ের এই “ইন্টুইশন” পরবর্তীকালে ডাক্তারি মহলে প্রবাদে পরিণত হয়। একসময় কলকাতার রাস্তায় দীর্ঘদিন ট্যাক্সি চালিয়ে পেশাগত জীবনের শুরু করে যে যুবক চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৪২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের…

কল্যাণী শহর

প্রাণের শহর কল্যানী

  [ক] ভৌগলিক অবস্থান ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে এই নগরী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানে অবস্থান করছে। এই শহরের পশ্চিমপ্রান্তে বয়ে চলেছে গঙ্গানদী। নদী বিধৌত পলিমাটিতে স্নেহধন্য এই নগরে। গঙ্গার পশ্চিম পারে হুগলী জেলা, সেখান থেকে কিছুটা উত্তরে এগোলেই বর্ধমান জেলা। গঙ্গার পূর্বপারে কল্যাণীর দক্ষিণে উত্তর ২৪ পরগণা এবং মাত্র ৬৪ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের যশোর জেলা…

কল্যাণী শহর

ইতিহাসের সরণী বেয়ে কল্যানী

“কল্যাণীকে”  শিল্প নগরীতে পরিণত করা পরিকল্পনা ছিল বাংলার রূপকার “বিধানচন্দ্র রায়ের”।বৃহৎ- ভারী শিল্প গঠনের প্রস্তুতি শুরু হলও  তা বাস্তবায়িত হয়নি, প্রতিরক্ষা দপ্তরের নির্দেশে। অজস্র ছোট-বড়, সরকারি,বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান এখানে গড়ে ওঠে।” কল্যাণী শিল্পাঞ্চল” আজও স্বমহীমায় প্রতিষ্ঠিত।   সমস্যা তো থাকবেই, এই প্রতিবন্ধকতাকে  নিয়েই আজকের কল্যাণী।ঈশ্বরগুপ্ত, বিভূতিভূষণ এর জন্মক্ষেত্র কল্যাণী। বিশিষ্ট জনের বাসভূমীও কল্যাণী।   অধ্যাপক…

কল্যাণী শহর

শিক্ষাক্ষেত্রে কল্যানী

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে ১৯৫১ সালে কল্যাণী শহরে  “বিদ্যামন্দির” নামে প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। যা পান্নালাল ইনস্টিটিউশনের  পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। পরে ১৯৫৬ সালে শহরের প্রথম বিদ্যালয় স্থাপিত হয় “পান্নালাল ইনস্টিটিউশন” নামে।  ১৯৬০ সালে উচ্চ শিক্ষার কথা ভেবে কল্যাণী সি ব্লকে “কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপিত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পঠন-পাঠন শুরু হয় হরিণঘাটা থানার মোহনপুরের…

কল্যাণী শহর

কল্যাণীর জীববৈচিত্র

অনেক রকম, বিশেষত বড় ও পাতাওয়ালা গাছ আছে বলে এখানে পাখি দেখা যায় হরেক রকমের।পাতিকাক,দাঁড়কাক,চড়াই ছাড়া চিল, বাস তিতির, পায়রা,ঘুঘু,টিয়া,কোকিল, পাপিয়া,বউ কথা কও, কানাকুবো  নানা ধরনের পেঁচা,বুলবুল,কাঠঠোকরা, ফিঙে,ছাতারে দোয়েল, হাড়িচাঁচা,বেনেবউ, তালচড়াই, ময়না টুনটুনি,দুর্গা টুনটুনি,বাবুই, বাঁশপাতি,বসন্তবৌরি, কাজলপাখি,ও আর ও নানা ধরনের পাখি দেখা যায়। জলাজমির  আশেপাশে পানকৌড়ি, নানান চেহারার হাস, বক মাছরাঙ্গা,জলমুরগি, জল পিপি,কাদাখোঁচা,এসব দেখা যায়।শীতকালের…