কল্যাণী স্টেডিয়াম
খেলাধুলো মানুষের মন ও শরীর সতেজ করে। যেহেতু “স্বাস্থ্যই সম্পদ” তাই সুস্থ শরীরের কথা ভেবেই যুগ যুগ ধরে খেলাধুলার অনুশীলন করে আসছে মানুষ। শুধু সুস্থ দেহই নয় মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত খেলাধুলা মানুষের দেহ ও মনে শৃঙ্খলা আনে। আর দলগত শৃঙ্খলাবোধই জাতির অগ্রগতির অন্যতম ভিত্তি। সেই কথা মাথায় রেখে কল্যানী পৌরসভা বরাবরেই এই দিকে নজর দিয়েছে।
খেলাধুলার প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে কল্যাণী পৌরসভা নিরলস কাজ করে চলেছে। আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামে মহিলা পুরুষ ক্রিকেট, মহিলা পুরুষ ফুটবল, ভলিবল, টেবিল টেনিস, ক্যারাটে, যোগা, হ্যান্ডবল, থ্রবল, জিম, তীরন্দাজ ইত্যাদি খেলার পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে।
অক্টোবর ২০১০ এ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনুমোদিত অনূর্ধ্ব ২২ কর্ণেল সি কে নাইডু ট্রফি ( সর্বোৎকৃষ্ট দলের ) চার দিনব্যাপী দুটি ম্যাচ দক্ষতার সঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অনুমোদিত কোচবিহার ট্রফি (সর্বোৎকৃষ্ট দলের ) অনূর্ধ্ব ১৯ বালক বিভাগের চার দিনব্যাপী দুটি ম্যাচ এছাড়াও আরো দুটি ম্যাচ অর্থাৎ মোট চারটি ম্যাচ অত্যন্ত মুক্সিয়ানার সঙ্গে আয়োজন করেছে।
ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি ) এর অর্থানো করলে চার দিনব্যাপী বাংলার মহিলা ক্রিকেটারদের জন্য একটি আবাসিক শিবির দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করে নামের প্রতি সুবিচার করেছে।
ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি ) অর্থানুকূল্যে বাংলার অনূর্ধ্ব বালক বিভাগের ১৩ দিনব্যাপী আবাসিক শিবির এবং অনূর্ধ্ব ২২ বালক বিভাগের পাঁচ দিনব্যাপী আরও একটি আবাসিক ক্রিকেট শিবির যোগ্যতার সঙ্গে পরিচনা করেছে।
এই কমিটির হাতে আগামী দিনেও ক্রিকেট পরিচালনার ধার দিলেও আরো সুষ্ঠুভাবে ও যোগ্যতার সঙ্গে এই কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। এছাড়া স্টেডিয়াম কমিটি অন্যান্য আরও যেসব খেলার কর্মকাণ্ড সংগঠিত করেছে তা হল –
• রাজ্য ভিত্তিক টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ কল্যাণী সপ্তপর্ণী মার্কেটের দোতলা এবং কল্যাণী টাউন ক্লাব সংগঠিত করেছে।
• রাজ্যভিত্তিক থ্রো-বল চ্যাম্পিয়নশিপ কল্যাণী ‘এ-ব্লক খেলার মাঠে সফলভাবে অনুষ্ঠিত করেছে।
• ভেটেরান্স ফুটবল প্রতিযোগিতা, কল্যাণী অংশগ্রহণকারী ৮ টি দলের মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল।
• কসবা সমন্বয়, কলকাতা অংশগ্রহণকারী ৮ টি দলের মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল।
• ভার্সাস ফুটবল প্রতিযোগিতা, কল্যাণী, অংশগ্রহণকারী ৮টি দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন
• আই.এফ.এ নার্সারি লীগ অংশগ্রহণ করেছিল।
• দক্ষিণ কলকাতা ফুটবল প্রতিযোগিতা, অংশগ্রহণকারী ৮টি দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন।
• নদীয়া জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন, ১৪ বছর পর্যন্ত (১০৫ পয়েন্টস), কল্যাণী জোন চ্যাম্পিয়ন এবং নদীয়া জেলা সেমি ফাইনাল ম্যাচে পরাজিত।
• নদীয়া জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন, ১৪ বছর পর্যন্ত, অংশগ্রহণকারী ১৩ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মোট ৫৩ টি অ্যাকাডেমির মধ্যে কল্যাণী জোন চ্যাম্পিয়ন ও নদীয়া জেলা চ্যাম্পিয়ন।
• ওপেন ডিস্ট্রিক্ট সাবজুনিয়র টিমে ৫জন খেলোয়াড় নির্বাচিত।
• ড. বি.সি রায় ট্রফি (১৭ বছর পর্যন্ত) জন্য বাংলা দলে ৩ জন খেলোয়াড় নির্বাচিত।
• ডায়মন্ড হারবার প্রতিযোগিতা ( ১০০ পয়েন্ট) অংশগ্রহণকারী ৮টি দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন।
• কুঁদঘাট প্রতিযোগিতা (১০০ পয়েন্ট), অংশগ্রহণকারী ৮ টি দলের মধ্যে সেমি ফাইনালে পরাজিত।
• ইছাপুর প্রতিযোগিতা (১০০ পয়েন্ট) অংশগ্রহণকারী ৮ টি দলের মধ্যে সেমি ফাইনালে পরাজিত।
• সি.এ.বি (১৪ বছরের নীচে) অম্বর রায় সাব জুনিয়র ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ২০১৩-২০১৪। ১৪৪ টি টিম অংশগ্রহণ করেছিল। প্রি- কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত। কল্যাণী মিউনিসিপ্যালিটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ক্রিকেটার শ্রী সুদীপ হালদার এই প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ রান করেছিল এবং সি.এ.বি দ্বারা পুরস্কৃত হয়েছিল এবং ৪৪ বছরের নীচে বাংলা ক্রিকেট দলের নির্বাচিত হয়েছিল।
• সি.এ.বি (১৭ বছরের নিচে) ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ২য় রাউন্ডে পরাজিত।
• নদীয়া জেলা সি.এ.বি (১৬ বছরের নিচে) সাব জুনিয়র প্রতিযোগিতায় কল্যাণী জোনে চ্যাম্পিয়ন।
• আমাদের এই অ্যাকাডেমির খেলোয়াড় পম্পা সরকার মহিলা লীগ প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক উইকেট সংগ্রাহক হিসাবে সি.এ.বি দ্বারা পুরস্কৃত হয়েছিল এবং ১৯ বছর পর্যন্ত মহিলা টিমে খেলার সুযোগ পেয়েছিল।
• রূপা দত্ত, সুগত সিংহ, ঋতি বিশ্বাস ও রিয়া গোস্বামী জেলা দলে নির্বাচিত হয়েছিল এবং পঙ্কজ গুপ্তর ইন্ডোর কোচিং সেন্টার, ইডেন গার্ডেন-এ প্রাকটিস করার সুযোগ পেয়েছিল।
• জেলা দলে এবং কলকাতার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপে ২০ জন টেবিল টেনিস খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিল।