কল্যাণী স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা

“নিদানকালে বিধানরায়”  এই প্রবাদ ছিল। স্বনামধন্য চিকিৎসক মুখ্যমন্ত্রী সেই বিধান রায়ের স্বপ্নেরশহর কল্যাণীতে তাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভালো রাখারই কথা। শিক্ষা কেন্দ্রের সাথে সাথে তাই স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি এই শহর আনুষ্ঠানিক সূচনার পরেই ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবে তৈরি হয় একটি ১৪ শয্যায়ের শাস্ত্র কেন্দ্র। তারপর ১৯৬০ সালে একটি ৫০০ বেডের  হাসপাতালের  ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ড: রায়। সেটি এখন জহরলাল মেমোরিয়াল হাসপাতাল (সংক্ষেপে JNM) নামে পরিচিত। ১৯৮৬ সালে মার্চ মাসের হৃদরোগের বিশেষ চিকিৎসার জন্য উন্মোধন করা হয় গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল করেন রাজ্যপাল শ্রী ধরমবীর।

বহুদিন ধরে এই দুই সরকারি হাসপাতাল মধ্যে  ও নিম্নবঙ্গের  অসংখ্য মানুষকে  পরিষেবা দিয়ে আসছে। অবশ্যই গত শতাব্দীর ৬০ বা ৭০ দশকের অবস্থার সঙ্গে বর্তমান অবস্থা তুলনীয় নয়। লাফিয়ে বেড়েছে লোকসংখ্যা, মূল্যবৃদ্ধির  সব সুযোগ,

 তবু আজকের দিনেও রোজ কয়েকশো থেকে হাজার খানেক রোগী আসেন এই দুই  প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া ১৯৬৮ সালে চালু হয় ই এস আই(ESI) হাসপাতাল, তখন এই শিল্পনগরী ৬০০ মত কারখানার শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে ২৫০ টি বেডের এই হাসপাতালও সাধ্যমত পরিষেবা দিয়ে চলেছে।
  ১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিত্যাগ মিলিটারি হাসপাতালকে “কাঁচরাপাড়ার টিবি  হাসপাতাল” হিসেবে পরিণত করা হয়। তারপর ১৯৭৬ সালে নেতাজীর জন্ম তিথিতে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায় এটির অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন  করেন “নেতাজী  সুভাষ টিবি   স্যানাটেরিয়াম” এইনামে। তার আগেই পূর্বতন  গড়ে ওঠে নতুন  জায়গায় গড়ে ওঠে নতুন বাড়িঘর। ৯২৫ বেডের এই হাসপাতাল এখনো চালু আছে,তবে বিনামূল্যে টিভির চিকিৎসা,
DTO  এর ওষুধ অনেক জায়গায় পেয়ে যাওয়া – এইসব মিলিয়ে এই হাসপাতালে গুরুত্ব কিছু কমেছে। শোনা যাচ্ছে, এখানে একটি নাগরিক স্বাস্থ্য বা জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে চলেছে।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *